Go Top

বাগধারা: ব্যাংক, বিসিএস ও অন্যান্য চাকরির জন্য part-4

বাগধারা

বাক্যের বর্গ যখন বাচ্যার্থ বা আক্ষরিক অর্থ ছাপিয়ে বিশেষ কোনো অর্থ প্রকাশ করে, তখন তাকে বাগধারা বলে। বাগধারার প্রয়োগে ভাষা প্রাণবন্ত হয় এবং বাক্য অধিক ব্যঞ্জনা সৃষ্টি করতে পারে। বাগধারা যেহেতু আক্ষরিক অর্থ ধারণ করে না, সেহেতু বাগধারা ঠিক কী অর্থ প্রকাশ করে ভাষা-ব্যবহারকারীকে সে ব্যাপারে সচেতন থাকতে হয়। বাগধারা এক অর্থে অতীত কালের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ঘটনার স্মারক। নিচে প্রচলিত কিছু বাগধারার প্রয়োগ-উদাহরণ দেওয়া হলো।

SLবাগধারাঅর্থবাক্য
1ঘােড়ার ডিম (কিছুই না): আস্ফালন কোরো না, তুমি আমার ঘােড়ার ডিম করতে পারবে।
2চশমশাের (বেহায়া): এমন চশমখোর লোকের সাথে আমি মিশি না।
3চিনির বলদের মতাে ঘানি টানা (ফল লাভে অংশীদার না হওয়া): সারাজীবন চিনির বলদের মতাে ঘানি টানলে, বিনিময়ে কিছুই পেলে না।
4চিনে জোক (নাছােড়বান্দা): লোকটি এ কাজ পাওয়ার জন্য একেবারে চিনে জোঁকের মতাে লেগে আছে।
5চুনোপুঁটি (সামান্য ব্যক্তি): সকলকে চুনোপুঁটি ভেবে অবজ্ঞা করা উচিত নয়।
6চুলোয় যাওয়া (নষ্ট হওয়া): ছোট্ট একটা ভুলের জন্য এমন পরিশ্রমের কাজটা শেষ পর্যন্ত চুলোয় গেল।
7চোখ পাকানো (রাগ দেখানো): আমার দিকে এমন চোখ পাকানোর কারণ কী?
8চোখ বুজে থাকা (ভূমিকা না রাখা): প্রতিবেশীর বিপদে চোখ বুজে থাকতে নেই।
9চোখে সরষে ফুল দেখা (বিপদে দিশেহারা হওয়া): পরীক্ষা সামনে, তাই চোখে সরষে ফুল তাে দেখবেই।
10ছা-পােষা (অত্যন্ত গরিব): ছা-পােষা লোক আমি, দেশ নিয়ে ভাবার সময় কোথায়?
11ছেলের হাতের মােয়া (সহজলভ্য): সবকিছু ছেলের হাতের মােয়া ভেবাে না।
12জগাখিচুড়ি (বিশৃঙ্খল): সবকিছু জগাখিচুড়ি করে রেখেছ দেখছি!
13জিলাপির প্যাচ (কূটবুদ্ধি): বাইরে থেকে দেখতে সরল হলেও লোকটির অন্তরে জিলাপির প্যাচ।
14ঝােপ বুঝে কোপ মারা (অবস্থা বুঝে সুযােগ গ্রহণ):তিনি ঝােপ বুঝে কোপ মেরে সফল হয়েছেন।
15টইটম্বুর (ভরপুর): বৃষ্টির পানিতে পুকুরটা একেবারে টইটম্বুর হয়ে আছে।
16টনক নড়া (সজাগ হওয়া): আগে কথা বললে না, এতক্ষণে তােমার টনক নড়ল?
17টাকার গরম (বিত্তের অহংকার): সব সময়ে টাকার গরম দেখানো ঠিক নয়।
18ঠোট কাটা (বেহায়া): আজকাল ঠোটকাটা লোকের অভাব নেই।
19ডান হাতের ব্যাপার (খাওয়া): আগে ডান হাতের ব্যাপারটা সেরে নেই, পরে অন্য কথা।
20ডুব মারা (পালিয়ে যাওয়া): যেই আমি বিপদে পড়লাম, অমনি তােমরা সবাই ডুব মারলে।

: